বেগুনের কাঁটালে/কাঁঠালে পোকা/ইপিলেকনা বিটল দমন ব্যবস্থা

পোকা চেনার উপায় : বয়স্ক পোকা ডিম্বাকৃতির , হালকা থেকে গাঢ় লাল, ৬-৭ মিলি লম্বা, উপরের পাখনায় কয়েক জোড়া দাগ থাকে। কীড়ার গায়ের রং হলুদ, চ্যাপ্টা, গায়ে কাঁটা থাকে । দেখতে আনেকটা কাঁঠালের মতো

ক্ষতির ধরণ : দলবদ্ধভাবে আক্রমন করে। আক্রান্ত পাতার সবুজ আংশ খেয়ে জালিকার মত ঝাঁঝরা করে ফেলে।পরে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পড়ে।

ক্ষতির লক্ষণ : পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায়। দলবদ্ধভাবে আক্রমন করে। আক্রান্ত পাতার সবুজ আংশ খেয়ে জালিকার মত ঝাঁঝরা করে ফেলে।

আক্রমণের পর্যায় : গাছেরবাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়

ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , পাতা , শিকড়

পোকার কীড়া পর্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে

আরও পড়ুনঃ লেবু চাষের সঠিক পদ্ধতি ও রোগ-বালাই দমন ব্যবস্থাপনা

দমন ব্যবস্থাপনা

  • পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করতে হবে ও জমি পর্যবেক্ষন করতে হবে
  • আক্রমণের প্রথম অবস্থায় পাতার নিচে হলুদ রঙের ডিমের গাদা এবং পাতাসহ কীড়া হাত দিয়ে সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।গাছে ছাই ছিটানো।পরজীবী বোলতা সংরক্ষণ করা।
  • পূর্ণ বয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলা।
  • গাছের গোড়সহ বেগুনের সম্পূর্ন মাঠ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • পাতার নিচে কীড়া / বয়স্ক পোকাসংগ্রহ করে নষ্ট করুন। পূর্ণ বয়স্ক পোকা ধরে মেরে ফেলা।
  • নিমের পাতা বা ফল বেটে ছেঁকে রস ৫-৬ গুন পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।

আক্রমনের মাত্রা তীব্র হলে অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করা। 

শতকরা ১০ ভাগ পাতা পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতি লিটার পানিতে ডেনিটল/ট্রিবন-১মিঃলিঃ বা

সুমিথিয়ন- কার্বারিল জাতীয় কীটনাশক

২মিঃলিঃ বা সেভিন ২গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *